মোশ্ রাফি মুকুল এর কবিতা | মিহিন্দা




পলিমরফিজম


আমি সবসময় আন্তঃনগর শব্দের ট্রেনে উঠে পড়ি।শহুরে কোলাহলধ্বনিতে চুমুক দিতে দিতে বিক্রি করে দি হৃৎপিণ্ড রঙের অক্ষরের বাঁক,কাঁচাহলুদের মতো সমৃদ্ধশালী বহুরূপতার হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকা মাইলস্টোন,কমলার কোয়ার মতো ছেড়ে আসা একেকটা স্তর ও পাললিক স্টেশন।

আর কংক্রিটের গোপনীয় বোতলে লুকিয়ে রাখি নাগরিক কাঁটাচামচ,পলিমরফিজম ধরে রাখি তরল যকৃতে;কিছুটা ইমিউনিটি রেখে দি ব্যস্ত আঙ্গুলে।

স্টেশনমাস্টার হুইসিল দিলে নেমে পড়ি কবিতা ও স্তন্যপায়ীফলের ছাদবাগানে।



শারীরিক দূরত্ব


তোমাকে গোলাপি মাস্ক ভেবে সেঁটে নিচ্ছে যারা উর্বর ঠোঁটের চতুর্দিকে,এবার তাদের তীব্র রসায়ন এবং শারীরবৃত্তের বিজ্ঞাপন থামাতে বলো।

আমরা সামাজিক দূরত্বের পরিধি বাড়ানোর কথা বলছি,খুলে ফেলছি শারীরিক দূরত্বের জিপার।

নষ্ট আঙুল দিয়ে ভ্রষ্ট নগর মেপে দেখি-এখানে মূলত পাথরকুচির মতো কাণ্ড ও পাতা ছাড়া ফুল-ফল,শরীর বলে কিছু নেই।




ঘুম ও গ্রাফ


যখন হাতের ভেতর থেকে পদচ্যুত হয়ে যায় সূর্য,ধুলোয় পড়ে থাকে সূর্যকিরণ ও অদৃশ্য ঝাড়বাতি; নিরুত্তেজ সূর্যনগর।
যখন বুকের ধোঁয়াশারা ডানবামে বাঁক খায়,রেটিনায় স্পষ্ট ছাপ পড়ে প্রতিফলিত ঘুম ও ঘাসফলের...
অথচ মানুষ আপেল খেতে ভালোবাসলেও কখনো গোলাপ ছাড়া আপেলফুল স্পর্শকরেনা।

হাঁসপাখিরা বরাবরি জলসঙ্গম ভালোবাসে,পাতামনৌকার মতো স্রোতের দিকে ভেসে যায়,এ দৃশ্যাবলী কারোরই অজানা নয়।

যখন নিজের হাততালির মতো চেনা শব্দগুলো চিনতে না পারা যায়,যখন আঙুলকেও অস্বীকার করে হাত,যখন অসম্ভব সুন্দর একটা ভাগ্য ভাগাভাগি হয়ে যায়,তখন সবকিছু আটকে যায় ভাইরাসের মতো ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ,স্বচ্ছ কাঁচ ও ঘুমের ভেতর।



তর্ক,মাছ ও ব্যাঙ

জলের সাথে তর্ক জুড়ে দিলে ডাঙায় উঠে আসে মাছ।বায়োফ্লক্সজীবী ব্যাঙ ও মাউথস্পিচ হাত ধরাধরি করে উঠে আসে,নাচে,ঢেউতোলা জলবতী মঞ্চে।এখন ঘরে ঘরে নিদ্রাহীন জলমগ্ন দিনের সারসংক্ষেপে বর্ষা প্রণোদনা।

কিছু বর্ধিত শব্দও সারাদিন ঘরের ভেতর দাপাদাপি করে ঘুরে বেড়ায়।টিনেরচালে অজস্র বৃষ্টির পর আবারও জন্ম নেয় ব্যাঙাচির মতো নতুন অপেক্ষার ভ্রূণ,সংক্রামী প্রেম ও ভালোবাসার সীমানাহীন মিউটেশন।



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন