মন শরীফ
অদৃশ্য হচ্ছে কীসের আড়ালে— সমূহ কথার মিনার! ভ্রমের হাওয়া মাড়ায়ে যায় উড়াল পথ পরিক্রমায়। নজর যেনো-বা স্থলে। দ্যাখা মেলে— স্মৃতির দরগা।
হে পরিযায়ী পাখি—
নেমে এসো সমতায়। চেয়ে দ্যাখো,
এখানে ব্যস্ত অজস্র বন্দেগী।
শরীক হও এই ভীড়ে যতটা সম্ভব নিজের মতন। এবং মিশিয়ে দাও পরস্পর— মন ও মিনার
ফলতঃ মিশ্রণ শেষে, এই 'মন শরীফ' কেবল আওড়ায় এক বিয়োগী নাম...
কথা
জিরানোর ছলে দ্যাখা হয় কথাদের সাথে। দ্যাখা হয় মধ্যবর্তী সময়ের আলাপে। শ্রান্তি শেষে যেমন থাকে না মূসাফির, ফিরে যায় নিজের মতন। তেমনি সহসা উড়ে যায় কথা'রা-ও, বয়ে যাওয়া সময়ের হাত ধরে।
হয়তো-বা ব্যথার স্পর্শে এসেই কথা'রা ধ্যান ভেঙে উড়ে যায়—
অথবা ভুলে যেতে সমস্ত ব্যথা, বদলে যায় কথা'র সম্পর্ক।
মায়া
ছাই চাপা আগুন উস্কে গেলে শোনা যায় দাউ দাউ ধ্বনি
পুড়ে যায় শারীফাতি মন, শরীরি ধারার মতন
যেহেতু মন ও শরীর উভয় পুড়ে, আগুন স্পর্শ করে না ছায়া—
তাই এই মনের আমানত কেবল তোমায় ঘিরে 'শরীর শরীর' মায়া।
জপ
গায়ত্রী সাদৃশ্যবরণ। হররোজ জপায়িত এক বিশেষ্য
বিশেষণে খুলে যাচ্ছে ধারাবাহিক তিনটি জবাব। প্রতিটি জবাব এর ভেতর যেন আলাদা স্বরে উঁকি দেয়—
কায়া,
হিয়া(ও)
মায়া
কোথায় লুকিয়ে আছে লক্ষ্য? কোথায় সেই বোধিতত্ত্ব?
দৃশ্যপট পাল্টে যায়। পাল্টে যায় ধারাবাহিকতা।
ফলতঃ রমণ ভুল ছত্রেই জপ করে, একান্ত ব্যক্তিগত বিশেষ্য
গন্দম
ভ্রমের হাওয়া লাগে দেহপুস্তিকায়। উত্তরায়ণের পর ভাঙন ধরে ভাঁজে ভাঁজে-
অতঃপর যে এসেছিল প্রেমিক বেশে, পালিয়ে যায় বিজারিত গন্দম ভয়ে। আর প্রণয়ী—
প্রণয়ের বাহ্য আবরণে যে ভেঙেছিলো সমস্ত আরোহ, অবরোহ। পালানোর তাগিদে পৌঁছে যেতে চায় পৃথিবীর অন্তে।
অথচ আত্মহত্যার তাগিদেই অজান্তে বিকশিত হয় মাতৃগর্ভাশয়ে নিষিদ্ধ গন্দমটি...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন