চেপে থাকি
মনের ভেতরে কত অনুরোধ—
বুকের বোতাম খুলে ওরা চায় বাইরে আসুক
পাতার মত নিবিড় সবুজে ডালে ডালে ঢুলুক
পাখির মত কারো নয় যে-পথ সে-পথে উড়ুক
ওই ঘরে যাক কাল, যেখানে ঘোর মায়াজাল
কী করে ওরা পাবে?
আমার শুধু ভয়— ওদের নিয়ে
ওরা কোথায় যাবে?
যদি ওরা মরে যায়
আর যদি ধরে মেরে ফেলে কেউ!
ঢেউয়ের মত এসব ভয়
পাখির মত উড়িয়ে নিতে চায়— অজানায়
আমি চেপে থাকি, ওদের লুকিয়ে রাখি—
টেনে ধরি ভেতরের ডামাডোল, ক্রোধ,
মনের ভেতর জেগে ওঠা যত অনুরোধ
যদি ফেলে আসা যায়
ভুল চিনি না বলে ভালো করে জানে ভেতরাত্মা
আবছায়া অতটাও অন্ধ করেনি তাকে
মনে করে থাকি— সমান রোদ্দুরে পুড়বে বুক;
যদি দেখে আসা যায়
চোখে চোখে না দেখা রঙ
যদি ছুঁয়ে আসা যায়
না ছোঁয়া জলের কেলি
একবার যদি ঘুরে আসা যায়
সোনালী হাসিতে ভরা লাজুক পাতার শহর—
আমাদের সব না হওয়া তুমুল ভাবে হয়ে যাবে তবে
তবে খুব হবে
যদি ফেলে আসা যায় পরিত্যক্ত পুরোনো বীজতলা
ফুল ছিঁড়ে ফেলার সাহস কোথায় এ অর্বাচীনের
সামলে নেয়ার কারচুপিও রপ্ত করিনি এখনো
ফুলহীন মিছে রোদ্দুর এদিকে ঠেলে দিও না অযথা
ভুল চিনি না বলে ভালো করেই তো জানে পোড়া মন
চূর্ণগতের হুনরিকাজ
ধূসর আয়না ভেঙে গেলে
স্মৃতিগুলো হয়ে যায় মৃত খাদ
খাদের ডুবজলে ভাসে ছেড়া ছেড়া ছবি ও কথা; যেখানে
ঠাড়সুখের ছুটি আজ, আজ শুধু সেখানে গতের হুনরিকাজ
এলোমেলো মায়ায় ছবিতে ধরে আছি জরুজাত হাত
আর সাথে আমাদের একা একা ত্রিকোণ দীর্ঘ রাত
ক্লান্তিপর গর-ঠিকানিয়া রাতে বিঁধে আছে বিলম্ব ভুল
আর ছুটে গেছে অবহেলায় বিধূনিত ধনুকের শর
পরকাটা ছুরি কেটে গেছে জরুজাতের মায়া এবং ছায়ানট—
কমঠ কার হাতে সে তো কথা নয়, কেবল মোহরই কথা আজ
মায়াদের ছুটি, সেখানে নিথর চূর্ণগতের এলোমেলো হুনরিকাজ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন