পঙক্তিমধ্য নৈঃশব্দ
আমি তোমার কানে 'ভালোবাসি' বললাম..
তুমি একটা গোটা দৃশ্যে আক্রান্ত হলে--
আমি তোমার জামা ছিঁড়ে ফেলছি
তারপরে চামড়া
তোমার স্তনে জিভ, দাঁত
তারপর তলপেটে উদ্ধত লিঙ্গ ঘসটে নেওয়া
হঠাৎ কামড়ে দিলাম দলা মাংস
কালো লোম ,মুখে ও কয়েকটা
এবারে তুমি আমার মাথায় হাত, খামচে ধরলে,
তুমি গোঙাচ্ছো
আমার কেন যেন ভালো লাগছে
এরপর আঙ্গুল যোনিতে
স্বচ্ছ পিচ্ছিল তরল
আঙুলে সুতোর মতো
হামলে পড়লো জিভ আরো নোনতা গভীরে
চাটছি, চুষছি
তুমি টেনে তুললে চুল
নাক মুখ ঠেসে ধরলে বুকে
আমি গোঙাচ্ছি এবার
তোমার দুই পা টেনে নিল
কোমড়ে ঠেসে দিল
লালায় লালায় শরীর
তুমি ঘামছো,
তুমি কেঁপে কেঁপে উঠছো
আমি সমস্ত জোরে ঢুকে যেতে চাইছি
বহুবার, বারবার, থেমে থেমে বারবার
আমার সব নিংড়ে নিয়েও থামছো না তুমি
তীব্রতর এবার গোঙানি
আমার নিঃস্ব লিঙ্গ শুধু শক্ত থাকার চেষ্টায়
ঋণখেলাপি চাষী আমি
তুমি চাবুক ক্লান্ত যুবতি জমিদার
তোমার শেষ ক্রোধ পর্যন্ত তুমি
এবার আমি উঃ করে উঠলাম
আমার মোটা গন্ধ ঠোঁটে তুমি কামড়ে দিয়েছো
ধ্বসে পড়লো তোমার পাহাড়, উঠে পড়লে তুমি
ফিরছো তুমি সিদ্ধান্তহীন
অনবরত থুথু ফেলছো,
সারা গায়ে আমার জিভের লালা
তুমি বাড়ি ফিরে অনেক্ষণ স্নান করবে,
সব ধোবে
সবটা ধুতে না পারলে আত্মহত্যা করবে
অথবা আমার চোদ্দবছর বনবাস, তুমি ছাড়া
অথচ, এগুলি আমি কিছু বলিনি,
এবং আপাতত এগুলি চাইনি
এবার একটু থামো
পঙক্তি ভিড়ের মধ্যে কিছু নৈঃশব্দও ছিলো
ভালোবাসার পুরুষের দাড়ির কিছু ঘ্রাণ
প্রেমিকের হেঁটে আসা কিছু মর্মর
প্রায়ই দেরি করা অপরাধী হাসি
না বলেও যতকিছু শোনা যায়
চলো শেষ শীতে কাঠবাদাম গাছের নিচে বসি
হালকা বাদামি বিছানা পাতা আজ
অথচ কাল সব পাতারা ছিল ডালে
তোমার রসিকা অধরের মতো লাল
আজ সেখানে দুরন্তসবুজ রোদ
এই তিন দিনে কী কী হয়েছে রসায়ণ
পাতারাই শুধু জানে,
আমি শুধু দেখেছি চেয়ে , ভেবে
যা ভেবেছো, মুছে ফেলনা,
চলো ওদের রোদ বাতাস আর না বলার গল্প শুনি
নিশ্চয়ই আমাদেরও কিছু না-বলা আছে
শুড়িপথে, মধ্যবর্তী কিছু নির্জনতা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন