আমি আমার বুকের কাছে এসে বসি। অনেক পরিচিত বুকে আমার প্রেমিকা শখ করে ক্যাকটাস লাগিয়ে গেছে। দুইটা বিড়াল মাছের কাঁটা নিয়ে ঝগড়া করতে করতে দৃশ্য থেকে বেড়িয়ে গেলো। আমি সময় নিয়ে দেখলাম। অনেক কিছুর মতো এই দেখা আমার মুখস্ত।
অনেক রাতে, আমি কাউকে ডাকি। কেউ আমার ডাক শুনে শুনে দেয়ালে পানের পিক ফেলে চলে যাচ্ছে। অনেকের চলে যাবার মতো, এই চলে যাওয়াও আমার মুখস্ত।
খুব রাত হলে আমি দেয়ালে তাকিয়ে থাকি, দেয়ালে কারো চোখ খুঁজি। দেয়াল আমার মুখে কুকুরের মতো পা তুলে প্রস্রাব করে দেয়। আমার চোখে-মুখে দেয়ালের প্রস্রাব, বিশ্রী গন্ধ, আমি ড্রয়ার খুঁজে বের করি- আমার প্রেমিকার ফেলে যাওয়া কাজল। গাঢ় করে কাজল দিয়ে চোখ ঢেকে দিই আমি। আমার চোখ দেখা যাচ্ছে না আর, দৃশ্যে আবারও বিড়াল ঢুকে পড়ে, ঈশ্বর শব্দ করে হাসেন, পৃথিবীর তাবৎ প্রেমিকারা দেয়াল হয়ে যাচ্ছে।
কুকুর এবং ঈশ্বর বিষয়ক
আমার মস্তিষ্ক একটা লম্বা দেয়াল। কে বা কারা বড় করে লিখে গেছে - এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ, করিলে পঞ্চাশ টাকা জরিমানা। এরপরই লাইন ধরে কুকুরগণ আসছে আর পা তুলে প্রস্রাব করে চলে যাচ্ছে।
দুইজন পোয়াতি কুকুর সন্তান প্রসব করবে এখানে। সাড়ে আটাশ ঘন্টা ধরে পড়ে আছে দেয়ালের পাশে। সন্তান প্রসব শেষে লাইন ধরে দুধ খায় বাচ্চা কুকুরগুলো। সন্তানেরা স্তনে দাঁত বসিয়ে দিলে দাঁত কিড়মিড় করে থাকে মা কুকুর। মা কুকুর দুইজনকে আমার ঈশ্বর মনে হয়।
মৃত্যু সবচেয়ে বড় কৌতুক
প্রচন্ড রোদে করাতের মুখে রক্ত দিয়ে হেসে গড়িয়ে পড়েন ঈশ্বর।
পরিচিত দুইজন কুকুর আমার ঠোঁট টেনে ধরে রাখে। আমার মুখে ঢেলে দেয়া হচ্ছে সাওতাল রমনীর স্তন থেকে গড়িয়ে পড়া টলটলে রক্ত আর মোনালিসার ফুটন্ত শালদুধ।
আমি মরে যেতে যেতে স্বীকার করে নিচ্ছি- মৃত্যু সবচেয়ে বড় কৌতুক।
পারফিউম
বেশ্যার যোনিতে ফুটে থাকা সূর্যমুখী থেকে তৈরী হয় সর্বশেষ্ঠ পারফিউম।
রাফাতুলের কবিতা আমি এই প্রথম পড়লাম...আমি মুগ্ধ আমার অনুজর কবিতা পড়ে....আরও পড়বৈ আগামীতে
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন