ঘন্টাকর্ণ সিরিজ
১
ম্যাপে বসানো দীর্ঘপথের দাগ কেটে দিলে
একটি দলা পাকানো হুইসেল বেঁজে উঠে।
ছলম ছেড়ে বেরিয়ে আসে ;
খসে পড়া ধূমকেতু!
যেখানে ভিনসেন্ট ভ্যানগগ
লিখে দিয়েছিলেন এক সুদীর্ঘ যাত্রাপথ______
একজন মায়ের জরায়ুতে মানচিত্র ছোট!
দেহের আবদ্ধতা অবমুক্ত করে____
মৃত আত্মাকে জাগিয়ে তুলতেই
বেঁচে থাকার বা বাঁচিয়ে রাখার সুগম পথ।
২
জন্মের আগে ও পরে দুটি পরিবর্তনকে এনালাইসিস করে দেখেছি
এখানে স্বাদহীন মৃত্যুর জন্য লড়াই ____অথচ আমরা ভবিষ্যত জানি না_____যা দেখেছি কল্পনায়,
মৃত্যুর ভিতরে মৃত জেগে উঠলে____মস্তিষ্কের বিষ্ফোরন ঘটে!
প্যারেড সাউন্ডের সাথে
হান্টার এস.থম্পসন হৃদপিণ্ডে ঝু্ঁকে বসলেই
খোলা আকাশের নিচে গলা ছেড়ে বলতে থাকে___
হে বত্রিশ তুমি লোভী হয়ে যাচ্ছো। বুড়োমি দেখাও।
শান্ত হও-এটা তোমাকে ব্যাথা দিবেনা।
অতঃপর ;
আমিও চাই উড়ে যাক_____এক ঝাঁক কবুতর মুক্ত আকাশে,
পালক ছড়িয়ে পড়ুক _____ভিটেহীন মানচিত্রে____এতেই রাস্তার রেখাগুলো স্পষ্ট ভেসে উঠুক সাগরীয় ফেনার মতো-যা চোখে দেখা যায় সহজেই।
৩
ভিনসেন্ট ভ্যানগগের আঁকা ছবিতে_____ অস্পষ্ট সূর্যোদয়ের সকাল_____আমাকে ঘুম ভাঙাতে পারেনি-
কারন আমি ঘুমোচ্ছি একটি ভয়ংকর লোমহর্ষক সন্ধ্যায়______শেয়ালের হাঁক আর আজব সব প্রাণির ডাক_____পরিবেশটি আরো ভয়ংকর করে তুলছে,
দেহ ঘুম ছেড়ে উঠলেও____ভিতরে কারো ঘুঙানির শব্দ আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে______হে ভিনসেন্ট তুমি জাগো ;
আমাকে ঘুমপাড়ানি গান শুনাও _____যেমন তোমাকে শুনিয়েছে আর্টপেপার আর রঙ পেন্সিলের স্কেচ।
অতঃপর ;
তুমি আমাকে ঝুলে থাকা থেকে ঝুলে পড়ার ছবি এঁকে দাও।
৪
দেহের বেলকোনি গলিয়ে বেরিয়েছে ষোলজোড়া পা___
কাটা-কম্পাসে মেপে দেখেছি একেকটি পায়ের আয়তন ______একেকটি গ্রহ নক্ষত্রের সমান।
বড্ড ওজন নিয়ে যখন কচ্ছপের ছাপ ফেলে___কাদামাটিতে সেধে যাচ্ছে _____উচ্ছিষ্ট পায়ের ছাপ_____আমি ভার্জিনিয়া উলফের ছবি দেখছি আয়নায়_____এ পায়ের বড্ড ওজন।
পায়ের সাথে যুদ্ধজয় করতে পারলে হয়তো ___স্বাধিনতার স্বাদ পাওয়া যায়____সভ্যতা যাকে পাপে রুপান্তর করেছে!
এভাবেও বেঁচে থাকা যায়____আমি এডলফ হিটলার অথবা জর্জ ইস্টম্যানকে উপস্থাপন করছি।
৫
ভৌগলিক ধারাকে হাতে ঠেলে দিয়ে
ভুড়ভুড়ি উঠছে শীতলক্ষ্যা জলে
বর্ষা এলে নদীতে জোয়ার আসে
অথৈজলে ভেসে বেড়ানো কচুরিপানায় আটকে আছে মুনিরা মুনি
আমি নির্বাক চেয়ে দেখেছি
দূর্জয়দা কত কায়দাবাজ তার ভাঁজে ভাঁজে সেধে রেখেছে______
মেহেকলতা
অলকানন্দা
অথবা___মুনিরা গাছের চিরল পাতা
কবিতারা নিঃশব্দে ছায়াপথ তৈরি করেছে____মেঘের আয়তনে।
এখনো সন্ধ্যা হয়নি দূর্জয়দা!
লিখে দিয়েছেন উড়ন্ত খামে!
তবুও কতো ঘুটঘুটে অন্ধকার নামিয়ে দিয়েছে রাত।
আহা মেকলতা! ___আহা অলকানন্দা! ____আহা মুনিরাবৃক্ষ!
৬
ঝুলে থাকার চেয়ে ঝুলে পড়া শ্রেয়।
আকাশই পাখির প্রাপ্য স্থান
তোমরা কেন তাকে পাপ বলো
এতো মুক্তির সুগম পথ।
তাদের ছুটতে দাও____প্রতিযোগী ঘোড়ার মতো।
৭
রক্তের ভলকানিতে ছুটছে এঁড়ে ঘোড়ার দল___যদিও আমি ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছি
কাকতাড়ুয়ার মুখাপেক্ষী হয়ে
ঝাল ঝুলে ডুবন্ত মানুষেরা চায়
হিমুগ্লোবিং জমে যাক
মিশরীয় পিরামিডের মতো
তাদের এভাবেই ভাবতে দেওয়া উচিৎ ____এটা তাদের প্রাপ্য অধিকার___
যা তারা তাদের মায়ের জরায়ু থেকে পেয়েছে।
৮
এই যে টানাপোড়েন______নীলরঙা পিত্ত গলে লেগে যায় টকবগে কলিজায়,
এখানে একটি লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়ে বলে দাও
"সাবধান এটা লাশবাহী গাড়ি"
অতঃপর,
ইমার্জেন্সি হর্ণ বাজালেই বুঝে নাও____এরা বাঁচার আশায় কাঁদে।
তোমরা তাদের অবমুক্ত করে দাও পোনামাছের মতো!
৯
মানছি ভ্রমে অথবা ঘুমে "তাও" ছিলো __কিন্তু দানাদার কল্পরেখায় বা উড়ন্ত বক শাবকের পাখা ছুঁয়ে দেখেছে পদ্মাসন?
মই বেয়ে উঠা ধ্রুপদী ____কানুন____আমি তার চুম্বকীয় শক্তি ঠেলে পাড় ছুঁতে পারিনা!
হায়-"তাও"
হেঁচকা টানে ছুঁড়ে দাও তীর____ বধ করো____একটি এ ঘেঁয়ে হৃদপিন্ড।
নয়তো বিধান উঠিয়ে নাও____যেটুকুতে পা ফেলা নিষিদ্ধ।
১০
কাঁচের চোখে সাগর
তুমি মানতে পারোনি তবুও বলছি
আমি ও ঈশ্বর কতটা দূরত্ব!
অথবা -পরস্পর প্রবাহিত!
সুগম্য পথ;
তবুও_____মানুষ একটি যান্ত্রিক শহর!
আমি কোলাহল চাইনি
আমি ঘুম চেয়েছি
ষোলজোড়া পায়ে এখন আর কদম পড়েনা।
বড্ড ক্লান্ত বরফবিথী
এবার ফাইনাল স্কোয়াডে পৌঁছে গেছে লীলাবতি গাণিতিক সূত্র।
আফজাল প্রস্তুত হও এবং ঝাঁপিয়ে পড়ো লেলিহান ধোঁয়ায়!
স্পর্শ করো_____এক বাস্তব ঈশ্বরীয় চরণ।
উড়ে যাক এক ঝাঁক আতংকিত কবুতর _____তাদের পাখার ঝাপটায় ঘুমাও।
অতঃপর;
কবি হোক কবিতা
তুমি হও প্রত্যেকটি শব্দের চরণ!
এভাবেই সমাপ্তি হোক ছুটন্ত এঁড়ে ঘোড়া।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি-
উত্তরমুছুনপ্রিয় সাহিত্য পত্রিকা মিহিন্দার সম্পাদ-প্রকাশক সহ সকল কলাকুশলীদের-
আমার সিরিজ কবিতাটি ছাপানোর জন্য🙏
মিহিন্দার সুদীর্ঘ পথচলার পথে সাথী হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি🙏
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন