দগ্ধ অভিশাপ
আমাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হলো দগ্ধ অভিশাপের মতো এক খুচরো মগজহীন কবরস্তানে। স্বচ্ছ আয়ুতে জিইয়ে রাখা নাসারন্ধ্র উত্তেজিত করে চলে অকপটে ঝুলন্ত গলা কাঁটা লাশের গন্ধ,
বিষের অত্যাচারে মোচড়ানো হৃৎপিণ্ড।
এদের আমি কোথায় যেনো দেখেছি!
মনে পড়েছে, কদিন আগেই তো এরা স্বপ্নের ফোয়ারায় ভাসতো, পিপাসায় কাতরে চাঁদের গায়ে রং মাখাতো,
আলোকিত মসনদে ঠোঁট মিলানোর বিশাল বড় ডিগ্রি ছিলো
তবে, ঘুটঘুটে আঁধারে শিমুলগাছের ফাঁক দিয়ে তাকাতে কাঁপতো ভয়ে থরথর করে ;
এদের শরীরের আষ্ঠেপৃষ্ঠে লেগে থাকা জীবানু কতোবার আমার কানের পর্দা ফাটিয়ে বলেছে,
এ জীবন তুচ্ছ, তুচ্ছ এই দেহ!
আমি চাই নিঃশর্তে মুক্তি!
বিনিময়ে উজাড় করি তোমার রচিত জীবনের টুকরো টুকরো অবজ্ঞা;
আমার ভাষাহীন জিভে পকেটভর্তি পেরেক মেরে চিৎকার করতে থাকে অগণিত কুকুরের দল!
পৃথিবীর সুদৃশ্যতা পণ্য হিসেবে বিক্রি করে দেই কুকুরের ডেরায়,
মূর্খের নিধন ক্রমশ পলেস্তারের দেয়ালে গ্রাফিতি করে দেয় তারা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন