২২ অক্টোবরের ক্রোড়পত্র : এ্যান ইনকমপ্লিট সার্কেল অব ডাব




 এ বছর ২২ অক্টোবরের ক্রোড়পত্র বেরুচ্ছে না। 


এই যে আপনাদের রীতিমতো ডেকে এনে ধোঁকা দেয়া হলো, সেজন্য মিহিন্দা সম্পাদক লজ্জিত বা বিব্রত নন। 


ফ্ল্যাশব্যাকে ১৪ অক্টোবর বিকেলে ফিরে যাওয়া হচ্ছে। জীবনানন্দ দাশ এক জোড়া ডাবকে তাদের ইনকমপ্লিট লাইফ সার্কেল পূরণ করার আশা দেখিয়ে হাঁটতে শুরু করলেন। 


১৪ অক্টোবর বিকেলের পর জীবনানন্দ দাশ মহান হয়ে উঠলেন, তার সেবা করে সেবিকা মহান হয়ে উঠলেন, স্বয়ং ট্রামও মহান হয়ে উঠলেন। কেবল ইনকমপ্লিট সার্কেল নিয়ে দেশপ্রিয় পার্কের পাশে পড়ে রইলো এক জোড়া ডাব। তারা ইনকমপ্লিসিটিতে ঘুরপাক খেতে লাগলেন।


এই ঘটনা প্রথমবার শুনে আমার প্রেমিকা কান্না করেছিলো। আমি চুপ করে বসে ছিলাম। জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে দুইজন কাক মৌন প্রতিবাদ সভা করেছিলো। কিন্তু সম্মানিত প্রতারিত ব্যক্তিবর্গ, আপনারাই বলেন, আপনারা আঘাতের বদলের আঘাত, গালির বদলে গালি, কান্নার বদলে কান্না, হত্যার বদলে হত্যা, অবমাননার বদলে অবমাননা করেন নি? তাহলে এক জোড়া ডাবের সাথে এতো বড় প্রতারণা কেনো প্রতারণা দিয়ে প্রতিশোধ নেয়া হবে না? 


এখন আপনারা মুখ টিপে টিপে হাসছেন। কেউ কেউ তত্ত্ব দাঁড় করাচ্ছেন, মহান জীবনানন্দ দাশের হাতে উঠতে পারাই একজন ডাবের জন্য সেরা সফলতা। এই তত্ত্বের প্রতিশোধও নেয়া হবে। ফুলের আঘাতকে বুলেট দিয়ে প্রতিরোধ করতে না শিখলে বিপ্লব হবে না। 


চুপচাপ বসে যান। আপনাদের গলায় প্রতারিত হবার প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেয়া হবে। 


এক জোড়া ডাবের কনিষ্ঠ ডাব বয়ান পেশ করবেন। আপনারা দেখবেন, কীভাবে জীবনানন্দ দাশ মহান হয়ে উঠবার জন্য তাদের ব্যবহার করেছেন। 


একি!! আপনারা বেরিয়ে যাবেন না।


সুইসাইড ইজ দ্যা রয়েল জুস অফ ডেড। ক্রোধের মত যে কখনো বুড়ো হয়না। এই রয়েল জুস খেয়ে সটকে গেছেন জীবনানন্দ। আপনারা একটু কান পাতুন, শুনতে পাবেন, ডাবগণ চিৎকার করে বলছে - " জীবনানন্দ, আপনি আমার গন্তব্য, প্লিজ আমাকে বাঁচান। "


আর লক্ষ্য করুন -

কান চুলকানো সংক্রামক হয়ে উঠছে। প্রতিটা প্রতারণার পরপরই কেউ না কেউ মহান হয়ে উঠছেন। ১৪ অক্টোবর বিকেলের পর জীবনানন্দ, আজ মিহিন্দা সম্পাদক..আর আপনাদের চারপাশে যে প্রতারণা, ভণিতা, নাটক চলছে, তাতে.. ভাবুন সম্মানিত প্রতারিত ব্যক্তিবর্গ, ভাবা প্র‍্যাক্টিস করুন..পালানোর পূর্বে একবার নিজের মুখোমুখি দাঁড়ান।


8 মন্তব্যসমূহ

  1. একটা ফাজলামো করা হলো। সাহিত্য ফাজলামোর জায়গা না।

    উত্তরমুছুন
  2. আমরা সাহিত্য নিয়ে ফাজলামোই করতে চেয়েছি। সিরিয়াস সাহিত্যের ধারে কাছেও ঘেঁষতে চাইনি, চাইও না..

    উত্তরমুছুন
  3. অশিক্ষিত বোকাচোদার দল৷
    পড়াশুনা করুন৷ শিক্ষিত হোন৷ মূর্খচোদা

    উত্তরমুছুন
  4. আপনারা হয়তো মনে করছেন কাজটা খুব ভালো হলো৷ ব্যতিক্রমধর্মী হলো৷ জি হা৷ ব্যতিক্রম অবশ্যই৷ কিন্তু পাঠককে ধোয়া দিয়ে বা প্রতারণা করে সাহিত্য হয় না৷ সরি আপনাদের প্রতি আমার আগ্রহ ছিলো, আজকের পর তা আর থাকলো না৷ যদি সম্ভব হয়, এই পোস্ট ডিলেট করে দিয়েন৷ এটা মিহিন্দার জন্য খুব বাজে এক্সাম্পল হয়ে থাকলো৷

    উত্তরমুছুন
  5. কমেন্টগুলো দেখে খারাপ লাগলো। এই লেখাটাকেই আপনাদের ক্রোড়পত্র মনে হলো না কেনো? প্রথমের লাইনগুলো পড়েই ধরে নিলেন, আপনাদের ধোঁকা দেয়া হলো? অথচ এই ক্রোড়পত্র একটা স্যাটায়ার। পুরো সিস্টেম, সিচুয়েশনের বিরুদ্ধেই।

    মিহিন্দার একটা উল্লেখযোগ্য কাজ এই ক্রোড়পত্র।

    উত্তরমুছুন
  6. তেলবাজি বন্ধ করুন রফিকুল৷ এরা যে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে, পসিবল হলে পরামর্শ দিয়ে বই সাজেস্ট করে এদেরকে শিক্ষিত করে তুলতেসচেষ্টা করুন৷ তাতে এই ছেলেরা শিল্প সৃষ্টি করতে পারবে মে বি৷ নাহলে এসব ফাকাবুলি চটকদার কাজ দিয়ে কিছুই হবে না৷ তাই তেল না মেরে এদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিন৷

    উত্তরমুছুন
  7. সূক্ষ্ম স্যাটেয়ার বুঝার এবিলিটি খুব কম লোকেরই থাকে।

    উত্তরমুছুন
  8. "আমার ছেলেবেলা "
    -------------_--------------_------------------_-------
    পীযূষ কান্তি দাস
    -------------------------------------------------------------------------
    যাবি বন্ধু নিয়ে আমায় সেই সে সোনার গাঁ,
    সবুজ যেথা আলপনা দেয় প্রতীক্ষায় রয় মা ।
    স্বপ্নেভরা দিনগুলোতে আবার ছেলেবেলায় ,
    চৈত্র শেষে চড়ক পূজা কিংবা রথের মেলায় ।
    ধুলোমাখা লুটোপুটি চালতেগাছে ঝোলা ,
    বলনা সখা বলনা আমায় যায় কী সেসব ভোলা ?

    নদীর ধারে জল পি পি ডাক - পানকৌড়ির ডুব ,
    ছিপের ফাতনা উঠলে নড়ে ঠোঁটে আঙ্গুল "চুপ " ।
    ধরতে ছানা টিয়াপাখির শিরিষগাছে চড়া ,
    ভয়ে ভয়ে স্কুলে যাওয়া হয়নি যেদিন পড়া ।।

    গরমকালে দুপুরবেলা একসাথে সব মিলে ,
    পড়তাম কেমন ঝাঁপ দিয়ে সেই ময়নামতির ঝিলে ।
    মনে পড়ে এক রবিবার গিয়ে নদীর ঘাটে ,
    নৌকা খুলে গেলাম কেমন বক্সীগঞ্জের হাটে !
    দুপুর গিয়ে বিকেল হলো ফিরি যখন বাড়ি ,
    বেঁচেছিলাম তাড়াতাড়ি ধরে মায়ের শাড়ি ।
    জানাদের সেই পুকুরে ভাই কেমন মাছের ঘাই ,
    চোখ বোজালে আজও যে হায় দেখতে আমি পাই ।।

    অমল কমল আছে কোথায় কোথায় শ্যামলী তারা ,
    একলা বসি বারান্দায় আর দুচোখে বয় ধারা ।
    আজকে আছে বাড়ি -গাড়ি জামা -কাপড় দামী ,
    নাম হয়েছে যশ পেয়েছি নই রে সুখী আমি ।
    শেষ হলো প্রায় দিনগুলো হায় সাঙ্গ ভবের খেলা ,
    আজও আমায় কেমন কাঁদায় আমার ছেলেবেলা ॥

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন